রাজশাহী টু কক্সবাজার যাওয়ার জন্য ভালো মানের বাস

 আপনি কি রাজশাহী টু কক্সবাজার যাওয়ার জন্য ভালো মানের বাস খুজছেন? সবাই জানতে চাই কক্সবাজার যাওয়ার জন্য ভালো মানের বাস কোনটি এ নিয়ে। আজকের আর্টিকেলে আমরা স্বচ্ছ ধারণা দিব।

রাজশাহী-টু-কক্সবাজার-যাওয়ার-জন্য-ভালো-মানের-বাস

সবার বাস নিয়ে ধারনা থাকলেও কোন বাস দূরের যাওয়ার জন্য ভালো হবে এ নিয়ে ধারণা নেই। বর্তমান সময়ে অনেকগুলো বাস রাস্তায় চলাফেরা করলেও কিছু সংখ্যক বাসে দূরের জার্নি ভালো হবে। চলেন দেখে নেওয়া যাক কক্সবাজার যাওয়ার জন্য ভালো মানের বাস এবং রাজশাহী থেকে কক্সবাজার ভাড়া কত।

পেজ সূচিপত্রঃ রাজশাহী টু কক্সবাজার যাওয়ার জন্য ভালো মানের বাস 


রাজশাহী টু কক্সবাজার যাওয়ার জন্য ভালো মানের বাস 

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের অন্যতম প্রধান শহর রাজশাহী থেকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সমুদ্র নগরী কক্সবাজার ভ্রমণ অনেক ভ্রমণপিপাসুর জন্য এক বিশেষ অভিজ্ঞতা। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে যাওয়ার স্বপ্ন থাকে প্রায় প্রত্যেকেরই। রাজশাহী থেকে সরাসরি কক্সবাজার যাওয়া অনেকটা সময়সাপেক্ষ হলেও এই দীর্ঘ যাত্রা প্রকৃত ভ্রমণকারীদের কাছে আনন্দদায়ক হয়ে ওঠে। তাই যাত্রাকে আরামদায়ক, নিরাপদ ও উপভোগ্য করতে সঠিক বাস নির্বাচন অত্যন্ত জরুরি। বাস সার্ভিসের মান, ভাড়া, সুবিধা ও সময় সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকলে ভ্রমণ হবে ঝামেলামুক্ত। 

অধিকাংশ মানুষ এর ইচ্ছা থাকে কক্সবাজার ভ্রমণের। কিন্তু রাজশাহী টু কক্সবাজার যাওয়ার জন্য ভালো মানের বাস। দেশের সবথেকে বড় সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার ভ্রমণের জন্য প্রায় সারা বছরই পর্যটকদের আনাগোনা এখানে লেগেই থাকে। সিজিন থাকুক বা না থাকুক বছরের প্রতি মাসে কক্সবাজার ভ্রমণ এর জন্য পর্যটক বিভিন্ন জায়গা থেকে আসতেই থাকে। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের সবথেকে বড় শহর রাজশাহী থেকে কক্সবাজার ভ্রমণ এক রোমাঞ্চকর ভ্রমণ। রাজশাহী থেকে কক্সবাজারের দূরত্বটা বিশাল এবং সময়ও অনেক লাগে।

কিলোমিটারে হিসাব করতে গেলে রাজশাহী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত পথটা দীর্ঘ প্রায় ৬৫০ কিলোমিটার। এ পথ টা অনেক বড় তাই কক্সবাজার এর দূরত্ব জন্য আরামদায়ক কিছু সার্ভিস দরকার। যার জন্য বলা যাই এত দুরের রাস্তার জন্য বেশ ভালো মানের বাস ব্যবহার করতে হবে। বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে অনেক ধরনের বাস সার্ভিস দিয়ে থাকে ,তবে সকল বাসের সার্ভিস ভালো হয়ে থাকে না। এজন্য জেনে শুনে বুঝে ভালো মানের বাস কোনটি তা নির্ণয় করতে হবে। 


তাছাড়া ভাড়া নিয়েও অনেক সিন্ডিকেট হয়ে থাকে। যা বাস জারর্নি সব থেকে বড় সমস্যা। সিন্ডিকেট এর জন্য যাত্রি গন বাসে জেতে চাই নাহ।  রাজশাহী থেকে কক্সবাজার ভাড়া নিয়ে কত তেমন কোন ধারনা থাকে না তাই জন্য তারা বেশির ভাগ সময়েই সিন্ডিকেট এর পাল্লাই পড়ে। তাছাড়া বাস যাত্রার সময় ও রুট নিয়েও তেমন তথ্য থাকে না সবার কাছে। আজকের এই এক আর্টিকেলে আমরা দেখব বাস যাত্রার সময় ও রুট এবং রাজশাহী থেকে কক্সবাজার ভাড়া কত এ নিয়ে। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে আপনি খুব সহজেই বুঝতে পারবেন কক্সবাজার যাওয়ার ভাড়া , কক্সবাজার যাওয়ার সময়  এগুলো নিয়ে।

বাসে যাওয়া উত্তম কেন 

বাসে ভ্রমণ করা সব দিক দিয়েই উত্তম। বিমানের তুলনায় ভাড়া অনেক কম, ট্রেনের তুলনায় টিকিট পাওয়া সহজ, আর লাগেজ বহনের ঝামেলাও কম। বাসে ভ্রমণ করলে পথে পথে বাংলাদেশের সৌন্দর্য চোখের সামনে উপভোগ করা যায়। নদী, সেতু, পাহাড় আর গ্রামের দৃশ্য ভ্রমণকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে। এছাড়া সরাসরি রাজশাহী থেকে কক্সবাজার যাওয়া যায় বলে সময়ও বাঁচে। যারা পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে নিরাপদ ও আনন্দময় যাত্রা চান, তাদের জন্য বাসই হতে পারে সবচেয়ে ভালো পছন্দ।

বাসে কক্সবাজার ভ্রমণ কেন উত্তম কেন উত্তম এ নিয়ে প্রায় সকলেরই প্রশ্ন থাকে। কিন্তু তারা তাদের কাঙ্খিত উত্তর পাই না। এখানে আলোচনা করব বাসায় করে কক্সবাজার যাওয়া কেন ভালো বা উত্তম।ভ্রমণ পিপাসুদের সবথেকে আনন্দের ভ্রমণস্পট কক্সবাজার। কক্সবাজারের সমুদ্রের নীল জলরাশি সকল ভ্রমণ পিপাসুদের আকৃষ্ট করে। অনেকেই ট্রেন বিমান বিভিন্নভাবে কক্সবাজার ভ্রমণ করে থাকলেও এগুলোর মধ্যে বাসে ভ্রমণটা আপনার জন্য সবথেকে উত্তম।

কেন বাসে ভ্রমণ করা উত্তম আপনি জানেন কি? একজন ভ্রমণ পিপাসুর কাছে প্রকৃতির লীলা খেলা সব থেকে রোমাঞ্চকর। বাসে ভ্রমণের ফলে আপনি এই রোমাঞ্চকর প্রকৃতি উপভোগ করতে পারবেন।তাছাড়া কক্সবাজার যাওয়ার পথে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান যেমন; রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র(পাবনা), যমুনা সেতু , পদ্মা সেতু  এবং কি নদ্য তৈরি হওয়া বাংলাদেশের একমাত্র টানেল এর দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন।

তাছাড়া রাজশাহী থেকে কক্সবাজার যাওয়ার জন্য সরাসরি রুট পাওয়া যায়। যা বাসে যার্নির সব থেকে ভালো দিক। ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার জন্য ট্রেন থাকলেও তার টিকিট সহজে মিলে না। কিন্তু বাসের ক্ষেত্রে টিকিট পাওয়া খুবই সহজ।  এ সকল  কারনের জন্য বাস জার্নি আপনার জন্য উত্তম হবে।

বাস ভ্রমণ বনাম ট্রেন/প্রাইভেট কার – কোনটা সুবিধাজনক?

রাজশাহী থেকে কক্সবাজার যাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকেই ভাবেন, বাসে যাবেন, ট্রেনে যাবেন নাকি প্রাইভেট কারে যাবেন। ট্রেন ভ্রমণ সাধারণত আরামদায়ক এবং দীর্ঘ পথে নিরাপদ, তবে রাজশাহী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত সরাসরি কোনো ট্রেন যোগাযোগ নেই, ফলে মাঝপথে নেমে আবার অন্য যানবাহনে উঠতে হয়। অন্যদিকে প্রাইভেট কার ভ্রমণ তুলনামূলকভাবে স্বাধীন, যেখানে ইচ্ছা বিরতি দেওয়া যায়, তবে খরচ অনেক বেশি পড়ে এবং দীর্ঘ পথে গাড়ি চালানো কষ্টকর। এর তুলনায় বাস ভ্রমণ সবচেয়ে সহজ ও সাশ্রয়ী বিকল্প।

আধুনিক বাসগুলোতে আরামদায়ক সিট, এসি সুবিধা, অনলাইন টিকিট বুকিং এবং নির্দিষ্ট সময়সূচি থাকে, ফলে যাত্রীরা নিশ্চিন্তে ভ্রমণ করতে পারেন। তাই খরচ, সুবিধা এবং আরামের কথা বিবেচনা করলে কক্সবাজার ভ্রমণের জন্য বাসই হতে পারে সবচেয়ে কার্যকর মাধ্যম।রাজশাহী থেকে কক্সবাজার ভ্রমণে বিভিন্ন যাতায়াত মাধ্যম থাকলেও বাস সবচেয়ে সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী।ট্রেন বা প্রাইভেট কারের কিছু সুবিধা থাকলেও দীর্ঘ যাত্রায় খরচ ও ঝামেলার কারণে সেগুলো সবসময় কার্যকর নয়।

তাই আরাম, বাজেট এবং সুবিধার দিক থেকে রাজশাহী টু কক্সবাজার যাওয়ার জন্য ভালো মানের বাস দরকার।

রাজশাহী থেকে কক্সবাজার বাস যাত্রা

রাজশাহী থেকে বিভিন্ন জায়গায় ছুটে চলা বাস সব সময় পাওয়া গেলেও রাজশাহী থেকে কক্সবাজার যাওয়ার বাস সব সময় পাওয়া যায় না সব সময় পাওয়া যায় না। এর কারণটা হচ্ছে রাজশাহী থেকে কক্সবাজার যাই কিছু এক্সক্লুসিভ বাসগুলো। সে সকল বাস গুলো নন স্টপ বা সীমিত স্টপ  হয়ে চলে। সকল বাস সার্ভিস গুলো তাদের বাসের ধরন অনুসারে ভাড়া নির্ধারণ করে থাকে গড় ভাড়া হয়ে থাকে ১২০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত। 

রাজশাহী-টু-কক্সবাজার-যাওয়ার-জন্য-ভালো-মানের-বাস

এ রুটের সকল বাস গুলো নিদিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছে দেয় কিন্তু ট্রাফিকের ক্ষেত্রে একটু কম বেশি হতে পারে। আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে সকল তথ্য তুলে ধরবার চেস্টা করেছি।

রাজশাহী টু কক্সবাজার চলাচলকারী জনপ্রিয় বাস 

রাজশাহী থেকে কক্সবাজার রুটে প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রী যাতায়াত করেন। তবে সব বাস সরাসরি এই রুটে চলে না। কিছু নির্বাচিত বাস সার্ভিস যাত্রীদের নিরাপদ, আরামদায়ক এবং আধুনিক সুবিধাসহ ভ্রমণ নিশ্চিত করে থাকে। এই বাসগুলো বছরের পর বছর ভ্রমণকারীদের আস্থা অর্জন করেছে। বিশেষ করে দীর্ঘ যাত্রায় আরামদায়ক সিট, সময়ানুবর্তিতা এবং বাজেট-বান্ধব ভাড়া যাত্রীদের কাছে জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছে। চলুন দেখে নেই কোন বাসগুলো এই রুটে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য।

বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন নগরী কক্সবাজারে ভ্রমণের স্বপ্ন থাকে সবার মনে। তাদের মধ্যে সবাই বাসে ভ্রমনি বেছে নেয়। সারা দিন বাসে করে হাজার হাজার মানুষ কক্সবাজার ভ্রমন করতে যায়। যোগাযোগ এর পদ্ধতি বাড়ার জন্য একখন দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত খুবই সহজেই যাওয়া যায়। দেশের উত্তরাঞ্চল রাজশাহী থেকে সমুদ্রসৈকতের শহর কক্সবাজার পর্যন্ত সরাসরি যোগাযোগ এখন অনেক সহজ হয়েছে। 
 

প্রায় সব বাস রাজশাহী থেকে কক্সবাজার যায় নাহ। কিছু পরিমান বাস যায় শুধু। প্রতিদিনই বেশ কয়েকটি আরামদায়ক এবং আধুনিক বাস সার্ভিস এই রুটে চলাচল করছে। যাত্রীদের নিরাপদ, স্বাচ্ছন্দ্য ও আনন্দদায়ক ভ্রমণের জন্য এই বাস সার্ভিসগুলো অত্যন্ত জনপ্রিয়। এ সকল দিক দিয়ে বিবেচনা করে আমরা বেশ কিছু বাস নির্ধারণ করেছি। চলেন দেখা যাক সেই বাস গুলো কি কি এবং রাজশাহী থেকে কক্সবাজার ভাড়া কত।

শ্যামলী পরিবহন

বাংলাদেশে দীর্ঘ দূরত্বের ভ্রমণের জন্য জনপ্রিয় পরিবহনগুলোর মধ্যে শ্যামলী পরিবহন অন্যতম। দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যাত্রী পরিবহনে প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে আস্থা অর্জন করেছে। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চল রাজশাহী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত সরাসরি চলাচলের কারণে পর্যটকরা শ্যামলী পরিবহনকে বেশি পছন্দ করেন। এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৭৯ সালে।  এরা ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, কক্সবাজার, চট্টগ্রামসহ সকল দেশের সেবা প্রদান করেন। 

শ্যামলী পরিবহনের বাসগুলো সাধারণত এসি, নন-এসি, ভিআইপি ও স্লিপার কোচ ক্যাটাগরির হয়ে থাকে। যাত্রীরা জানান, শ্যামলী পরিবহন দীর্ঘ ভ্রমণের জন্য বেশ আরামদায়ক। বিশেষ করে স্লিপার কোচ যাত্রীদের কাছে বেশি জনপ্রিয়। শ্যামলী পরিবহনের মূল লক্ষ্য হলো যাত্রীদের নিরাপদ, আরামদায়ক ও সময়ানুবর্তী ভ্রমণ সেবা দেওয়া।

হানিফ এন্টারপ্রাইজ

বাংলাদেশের দীর্ঘ দূরত্বের যাত্রায় হানিফ এন্টারপ্রাইজ একটি বিশ্বস্ত নাম। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি আধুনিক কোচ, আরামদায়ক সেবা এবং সময়ানুবর্তিতার কারণে হানিফ এন্টারপ্রাইজ যাত্রীদের কাছে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে। বিশেষ করে রাজশাহী থেকে কক্সবাজার রুটে এই পরিবহন অন্যতম জনপ্রিয় বাস সার্ভিস। প্রতিষ্ঠাতা মো. হানিফ এর হাত ধরে ১৯৮৪ সালে হানিফ এন্টারপ্রাইজ প্রতিষ্ঠাত হয়। ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাজশাহী, খুলনা, রংপুরসহ সারা দেশ হানিফ এন্টারপ্রাইজ  সার্ভিস দিয়ে থাকে।

রাজশাহী থেকে কক্সবাজারের দীর্ঘ ভ্রমণকে আরামদায়ক ও নিরাপদ করতে হানিফ এন্টারপ্রাইজ নিয়মিত এসি ও নন-এসি কোচ পরিচালনা করে।বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ ও জনপ্রিয় বাস সার্ভিস হলো হানিফ এন্টারপ্রাইজ। রাজশাহী থেকে কক্সবাজারের দীর্ঘ ভ্রমণকে আরামদায়ক, নিরাপদ ও বাজেট ফ্রেন্ডলি করতে হানিফ একটি আদর্শ পছন্দ।

গ্রিন লাইন পরিবহন

বাংলাদেশের অন্যতম আধুনিক ও বিলাসবহুল বাস সার্ভিস হলো গ্রিন লাইন পরিবহন (Green Line Paribahan)। দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে দক্ষিণাঞ্চল পর্যন্ত দীর্ঘ ভ্রমণকে আরামদায়ক ও নিরাপদ করতে গ্রিন লাইন দীর্ঘদিন ধরে যাত্রীদের কাছে আস্থার প্রতীক হয়ে আছে। বিশেষ করে রাজশাহী থেকে কক্সবাজার রুটে ভ্রমণের জন্য এটি যাত্রীদের অন্যতম সেরা পছন্দ। ১৯৯০ এর দশকে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।ঢাকা, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশালসহ সারাদেশ এরা সার্ভিস দিয়ে থাকে।

রাজশাহী থেকে কক্সবাজারের প্রায় ৬০০ কিলোমিটার দীর্ঘ পথকে আরামদায়ক করতে গ্রিন লাইন প্রতিদিনই আধুনিক কোচ সার্ভিস চালায়। বাংলাদেশের আধুনিক ও বিলাসবহুল বাস সার্ভিসগুলোর মধ্যে গ্রিন লাইন পরিবহন অন্যতম সেরা। রাজশাহী থেকে কক্সবাজারের দীর্ঘ ভ্রমণে যারা নিরাপদ, আরামদায়ক এবং বিলাসবহুল যাত্রা চান, তাদের জন্য গ্রিন লাইন পরিবহন নিঃসন্দেহে প্রথম পছন্দ হতে পারে।

দেশ ট্রাভেলস 

বাংলাদেশে আরামদায়ক ও নির্ভরযোগ্য দূরপাল্লার বাস সার্ভিসগুলোর মধ্যে দেশ ট্রাভেলস (Desh Travels) অন্যতম। দীর্ঘ যাত্রায় নিরাপত্তা, আরাম ও আধুনিক সুবিধার কারণে যাত্রীরা এই পরিবহনকে পছন্দ করে থাকেন। ঢাকা থেকে শুরু করে রাজশাহী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় দেশ ট্রাভেলস নিয়মিত বাস পরিচালনা করে। বিশেষ করে পর্যটন শহর কক্সবাজারে ভ্রমণের জন্য এটি অনেক যাত্রীর প্রথম পছন্দ। এটি নতুন অর্থাৎ ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। 

ঢাকা, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুরসহ বিভিন্ন জেলা এরা বাস সার্ভিস দিয়ে থাকে। রাজশাহী থেকে কক্সবাজারের প্রায় ৬০০ কিলোমিটারের দীর্ঘ পথকে যাত্রীবান্ধব করতে দেশ ট্রাভেলস প্রতিদিন আধুনিক বাস সার্ভিস পরিচালনা করে। বাংলাদেশের আধুনিক ও নির্ভরযোগ্য পরিবহনগুলোর মধ্যে দেশ ট্রাভেলস অন্যতম। রাজশাহী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত দীর্ঘ ভ্রমণে যারা আরাম, নিরাপত্তা ও সময়নিষ্ঠ সেবা চান, তাদের জন্য দেশ ট্রাভেলস হতে পারে সেরা পছন্দ।

এনা পরিবহন

বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় এবং যাত্রীবান্ধব বাস সার্ভিস হলো এনা পরিবহন (ENA Transport Pvt. Ltd.)। ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই পরিবহন সেবাটি বর্তমানে সারা দেশে তাদের আরামদায়ক ও মানসম্মত সেবা দিয়ে সুপরিচিত। এনা পরিবহনের বাসগুলো বেশ নতুন ও আপডেটেড এবং সিটগুলো চওড়া ও আরামদায়ক, দীর্ঘ ভ্রমণের জন্য উপযোগী।

 সার্বিকভাবে, যারা রাজশাহী থেকে কক্সবাজার ভ্রমণে আরাম, নিরাপত্তা ও মানসম্মত সেবা খুঁজছেন, তাদের জন্য এনা পরিবহন একটি চমৎকার অপশন। প্রতিটি বাসে রয়েছে সিসিটিভি, জিপিএস ট্র্যাকিং, এবং নির্দিষ্ট গতিসীমা নিয়ন্ত্রণ। এনা পরিবহন রাজশাহী থেকে কক্সবাজার রুটে কয়েকটি ভিন্ন ক্যাটাগরির বাস সার্ভিস চালায় সার্বিকভাবে, যারা রাজশাহী থেকে কক্সবাজার ভ্রমণে আরাম, নিরাপত্তা ও মানসম্মত সেবা খুঁজছেন, তাদের জন্য এনা পরিবহন একটি চমৎকার অপশন।

সোহাগ পরিবহন

বাংলাদেশের অন্যতম পরিচিত এবং নির্ভরযোগ্য বাস সার্ভিস হলো সোহাগ পরিবহন (Shohag Paribahan Pvt. Ltd.)। দীর্ঘদিন ধরে তারা দেশের বিভিন্ন রুটে নিরাপদ ও আরামদায়ক ভ্রমণ সেবা দিয়ে আসছে। রাজধানী ঢাকা ছাড়াও এখন রাজশাহী টু কক্সবাজার রুটেও সোহাগ পরিবহন যাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আরামদায়ক সিটিং ও ভদ্র সার্ভিসের জন্য সোহাগ আলাদা পরিচিতি রয়েছে।আধুনিক ফিচার  এর মধ্যে  ই-ফাই, চার্জিং পোর্ট, এয়ার-কন্ডিশনড কেবিন, এবং মাইক্রোফোনে ঘোষণা ইত্যাদির মত সিস্টেম। 

সার্বিকভাবে, যারা রাজশাহী থেকে কক্সবাজার যেতে চান এবং চান ভিআইপি মানের আরামদায়ক যাত্রা, তাদের জন্য সোহাগ পরিবহন একটি অসাধারণ পছন্দ।

রাজশাহী টু কক্সবাজার বাসের ভাড়া 

রাজশাহী থেকে কক্সবাজার ভ্রমণ বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় দূরপাল্লার রুট। পর্যটক, ব্যবসায়ী এবং শিক্ষার্থীদের জন্য এই যাত্রা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘ পথ হলেও আধুনিক বাস সার্ভিস ও আরামদায়ক কোচের কারণে যাত্রা এখন অনেক সহজ ও নিরাপদ। এই আর্টিকেলে আমরা বিভিন্ন জনপ্রিয় বাস সার্ভিসের ভাড়া, সময়সূচি, সুবিধা এবং টিকেট বুকিং অপশন নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরব।


রাজশাহী থেকে কক্সবাজার ভ্রমণ করতে যাত্রীরা তাদের বাজেট, আরাম এবং সময় অনুযায়ী বাস বেছে নিতে পারেন। শ্যামলী, হানিফ, এনা, গ্রিন লাইন, দেশ ট্রাভেলস এবং সোহাগ পরিবহন এই রুটের প্রধান সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিটি কোম্পানি ভিন্ন ভিন্ন সুবিধা ও সেবার মান দেয়, যার মাধ্যমে যাত্রীরা সহজেই তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। চলেন দেখে নেওয়া যাক বিভিন্ন বাসের ভাড়ার তালিকা; 
বাস সার্ভিস ধরণ ভাড়া (টাকা) সময় লাগে
শ্যামলী পরিবহন নন-এসি ১২০০ ১৪ ঘণ্টা
শ্যামলী পরিবহন এসি ১৭০০-২০০০ ১৪ ঘণ্টা
হানিফ এন্টারপ্রাইজ নন-এসি ১২০০ ১৩-১৪ ঘণ্টা
হানিফ এন্টারপ্রাইজ এসি ১৮০০ ১৩-১৪ ঘণ্টা
গ্রিন লাইন এসি ২০০০ ১৩ ঘণ্টা
দেশ নন-এসি ১৫০০ ১২/১৩ ঘণ্টা
সোহাগ পরিবহন এসি ১৮০০-২০০০ ১৪ ঘণ্টা
এনা পরিবহন নন-এসি ১২০০ ১৪ ঘণ্টা

রাজশাহী টু কক্সবাজার বাস টিকিট বুকিং

রাজশাহী থেকে কক্সবাজার যাত্রা বাংলাদেশের দীর্ঘ দূরত্বের অন্যতম ব্যস্ত রুট। পর্যটক, ব্যবসায়ী এবং শিক্ষার্থীরা এই রুটে নিয়মিত ভ্রমণ করেন। দীর্ঘ পথ হলেও আধুনিক বাস সার্ভিস ও আরামদায়ক কোচের কারণে যাত্রা অনেক সহজ, নিরাপদ এবং স্বাচ্ছন্দ্যময়। 
রাজশাহী-টু-কক্সবাজার-যাওয়ার-জন্য-ভালো-মানের-বাস

কাউন্টার থেকে সরাসরি টিকিট কেনার পাশাপাশি অনলাইনেও বুক করা যায়। বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে টিকিট বুকিং করা যাত্রীরা তাদের সময় এবং আরামদায়ক অভিজ্ঞতা অনুযায়ী সহজেই বাস নির্বাচন করতে পারেন। শ্যামলী, হানিফ, এনা, গ্রিন লাইন, দেশ ট্রাভেলস এবং সোহাগ পরিবহনের মতো জনপ্রিয় কোম্পানিগুলো অনলাইন বুকিং সুবিধা প্রদান করে।

অনলাইন টিকিট বুকিং সাইট

  • Shohoz.com
  • Busbd.com.bd
  • bdtickets.com
  • সংশ্লিষ্ট বাস কাউন্টারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট

অফলাইন টিকিট বুকিং

  • রাজশাহীর বিভিন্ন বাস কাউন্টার যেমন – শ্যামলী, হানিফ, এনা, গ্রিন লাইন ইত্যাদি কাউন্টার থেকে সরাসরি টিকিট কাটা যায়।

যাত্রার আগে কীভাবে পরিকল্পনা করবেন 

কক্সবাজারের দীর্ঘ যাত্রা শুরু করার আগে ভালোভাবে পরিকল্পনা করা খুবই জরুরি, যাতে ভ্রমণটি আরামদায়ক, নিরাপদ এবং আনন্দময় হয়। প্রথমেই আপনার যাত্রার সময়সূচি নির্ধারণ করুন – দিনে বা রাতে যাত্রা শুরু করবেন তা ঠিক করুন। রাতের বাস যাত্রা করলে সময় বাঁচে এবং সকালে কক্সবাজার পৌঁছানো যায়, যা পুরো ভ্রমণকে সুবিধাজনক করে। এরপর ভাড়া ও টিকিট সম্পর্কে আগেভাগে তথ্য সংগ্রহ করুন এবং সম্ভব হলে অনলাইনে টিকিট বুকিং করে রাখুন।

টিকিট নিশ্চিত করলে যাত্রা সংক্রান্ত মানসিক চাপ কমে যায় এবং সময়মতো পৌঁছানো যায়।পরবর্তী ধাপ হলো ব্যাগ ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র প্রস্তুত করা। দীর্ঘ যাত্রার জন্য হালকা পোশাক, মোশন সিকনেস ওষুধ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, পানি, হালকা খাবার এবং চার্জার বা পাওয়ার ব্যাংক সঙ্গে রাখুন।এছাড়া প্রাথমিক ফার্স্ট এইড এবং গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রও সঙ্গে রাখলে যাত্রায় কোনো অপ্রত্যাশিত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না।যাত্রার আগে রাস্তা ও আবহাওয়ার তথ্য জানা গুরুত্বপূর্ণ। 

যদি ট্রাফিক বেশি থাকে বা আবহাওয়া খারাপ থাকে, তাহলে বিকল্প সময়সূচি বা স্টপেজ প্ল্যান করা যেতে পারে। এছাড়া যাত্রার আগে পরিবারের সদস্য বা বন্ধুকে আপনার যাত্রার সময়সূচি জানানো নিরাপত্তার জন্য সহায়ক।শেষে, মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকাও জরুরি। দীর্ঘ সময় বসে থাকার জন্য ধৈর্য ধরুন, সময়মতো বিরতি নিন এবং যাত্রাকে আনন্দময় অভিজ্ঞতা হিসেবে গ্রহণ করুন। ভালো পরিকল্পনা থাকলে যাত্রা হবে অনেক বেশি স্বস্তিদায়ক, নিরাপদ এবং স্মরণীয়।

দীর্ঘ বাস যাত্রার জন্য দরকারি টিপস

দীর্ঘ বাস যাত্রা সবসময় মজার হলেও শরীরের জন্য বেশ ক্লান্তিকর হতে পারে, তাই যাত্রা আরামদায়ক করতে কিছু প্রস্তুতি খুব জরুরি। প্রথমেই ঢিলেঢালা ও আরামদায়ক পোশাক পরা উচিত, এতে দীর্ঘ সময় বসে থাকলেও অস্বস্তি কম হয়। যাদের গাড়িতে বমি বা মাথা ঘোরার সমস্যা আছে, তারা অবশ্যই ওষুধ সঙ্গে রাখবেন, সাথে প্রাথমিক ফার্স্ট এইড বক্সও নিতে পারেন। দীর্ঘ ভ্রমণে হালকা শুকনো খাবার যেমন বিস্কুট, বাদাম, ফল বা চিপস রাখা ভালো, পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে তবে সফট ড্রিঙ্কস বা ভারী খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। 

যাত্রার সময় মোবাইল বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করলে চার্জ শেষ হয়ে যেতে পারে, তাই একটি পাওয়ার ব্যাংক অবশ্যই সঙ্গে রাখবেন, আর ইয়ারফোন দিয়ে গান বা অডিওবুক শুনলে সময় সহজে কাটবে। দীর্ঘ পথে একটু ঘুম নিলে শরীর অনেকটাই চাঙ্গা থাকে, তাই ট্রাভেল পিলো, আই মাস্ক বা ছোট কম্বল নিতে পারেন। নিরাপত্তার দিক থেকেও সচেতন থাকতে হবে—নিজের ব্যাগ সবসময় কাছে রাখবেন, অপরিচিত কারও কাছে মূল্যবান জিনিস দেবেন না, বিশেষ করে রাতের ভ্রমণে বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে। 

এছাড়া বাস কোনো স্টপেজে থামলে কয়েক মিনিট হাঁটাহাঁটি বা শরীর স্ট্রেচ করলে রক্তসঞ্চালন ভালো থাকে এবং ক্লান্তি অনেকটা কমে যায়। দীর্ঘ বাস যাত্রাকে আরামদায়ক ও উপভোগ্য করতে চাই সামান্য প্রস্তুতি আর সচেতনতা।সঠিক পরিকল্পনা ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে থাকলে যাত্রা আর ক্লান্তিকর নয়, বরং আনন্দময় হয়ে ওঠে।তাই নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক ভ্রমণের জন্য আগে থেকেই সবকিছু গুছিয়ে নেওয়াই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।

ভ্রমণ টিপস

রাজশাহী থেকে কক্সবাজারের বাস যাত্রা বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় দূরপাল্লার রুট। দীর্ঘ পথ হলেও আধুনিক বাস সার্ভিস ও আরামদায়ক কোচের কারণে যাত্রা এখন অনেক সহজ এবং নিরাপদ। তবে দীর্ঘ যাত্রাকে আরামদায়ক ও সমস্যা-মুক্ত করতে কিছু প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি।

এই অংশে আমরা আপনাদের জন্য রাজশাহী থেকে কক্সবাজার ভ্রমণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ টিপস উপস্থাপন করেছি। এগুলো মেনে চললে যাত্রা হবে নিরাপদ, আরামদায়ক এবং স্মরণীয়। বিশেষ করে যারা প্রথমবার এই রুটে ভ্রমণ করছেন, তাদের জন্য এই টিপসগুলো অনেক কাজে দেবে।

  • ভ্রমণের অন্তত ২-৩ দিন আগে টিকিট বুক করে রাখুন, বিশেষ করে ছুটির মৌসুমে।
  • সম্ভব হলে রাতের বাসে ভ্রমণ করুন, এতে সময় বাঁচবে এবং সকালে কক্সবাজার পৌঁছাতে পারবেন।
  • নিরাপত্তার জন্য সবসময় নিজের মূল্যবান জিনিসপত্র (মোবাইল, টাকা, ল্যাপটপ) সাথে রাখুন।
  • যারা মোশন সিকনেসে ভোগেন, তারা জানালার পাশে সিট নিতে পারেন।

কক্সবাজারে পৌঁছে কোথায় কোথায় ঘুরবেন

কক্সবাজারে পৌঁছানোর পর ভ্রমণকে সত্যিই স্মরণীয় করতে চাইলে অবশ্যই কিছু জনপ্রিয় ও আকর্ষণীয় স্থান ঘুরে দেখা উচিত। প্রথমেই যাত্রা শুরু করুন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে, যা শুধু দেশের নয়, বরং বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত হিসেবে খ্যাত। এখানে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের অসাধারণ দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন, সমুদ্রের নীল জলের তীরে হাঁটাহাঁটি করে স্বস্তি পাবেন এবং স্থানীয় খাবারের স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়া সৈকতের আশেপাশে অনেক রেস্টুরেন্ট, কফি শপ ও ফটোগ্রাফির সুযোগ রয়েছে, যা ভ্রমণকে আরও আনন্দময় করে তোলে।

এরপর ভ্রমণ করতে পারেন হিমছড়ি ঝর্ণা, যেখানে পাহাড়ের মাঝে প্রাকৃতিক ঝর্ণা, সবুজ বন ও প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করা যায়। যারা প্রকৃতি ও শান্তিপ্রিয় পরিবেশে ভ্রমণ পছন্দ করেন, তারা ইনানি বিচ, মারিন ড্রাইভ এবং আশেপাশের ছোট ছোট দর্শনীয় স্থানগুলোও ঘুরে দেখতে পারেন। পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে চাইলে কক্সবাজার শপিং জোন ও স্থানীয় মার্কেটও এক চমৎকার অভিজ্ঞতা দেয়, যেখানে স্থানীয় হস্তশিল্প এবং স্বাদযুক্ত খাবার কেনা যায়। 

এছাড়া যারা অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন, তারা টেকনাফ ও উদয়ন পাহাড়-এর মত আশেপাশের দর্শনীয় স্থানগুলোও পরিদর্শন করতে পারেন। প্রতিটি স্থান ভিন্ন অভিজ্ঞতা দেয়, যা কক্সবাজার ভ্রমণকে করে তোলে সত্যিই আনন্দময় এবং স্মরণীয়।কক্সবাজারের প্রতিটি দর্শনীয় স্থানই আপনার ভ্রমণকে এক নতুন অভিজ্ঞতা দেয়।সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সমুদ্র সৈকত, পাহাড়, ঝর্ণা এবং স্থানীয় সংস্কৃতির সান্নিধ্য ভ্রমণকে আনন্দময় ও স্মরণীয় করে তোলে।

সঠিক পরিকল্পনা ও সময়মতো ভ্রমণ করলে কক্সবাজার ভ্রমণ হয়ে ওঠে সত্যিই আরামদায়ক, নিরাপদ এবং অবিস্মরণীয়।

উপসংহারঃ রাজশাহী টু কক্সবাজার যাওয়ার জন্য ভালো মানের বাস 

রাজশাহী টু কক্সবাজার যাওয়ার জন্য ভালো মানের বাস নিয়ে আর কোন সমস্যা হবে না এই পোস্ট টি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকলে। রাজশাহী থেকে কক্সবাজার ভ্রমণ দীর্ঘ হলেও সঠিক বাস সার্ভিস বেছে নিলে যাত্রা হবে অনেক আরামদায়ক ও আনন্দদায়ক। শ্যামলী, হানিফ, গ্রিন লাইন, এনা বা সোহাগ – যেকোনো ভালো মানের পরিবহন বেছে নিয়ে অনলাইন টিকিট কেটে নির্দ্বিধায় যাত্রা শুরু করতে পারেন।

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের শহর কক্সবাজার আপনাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। আরামদায়ক বাস যাত্রায় সেখানে পৌঁছে আপনার ভ্রমণ হবে স্মরণীয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আপনার মতামত লিখে জানিয়ে দিন

comment url